বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেছেন, শুধু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই সংস্কার চায় তা নয়, সংস্কার আমাদেরও কর্মসূচি। সবার প্রতি অনুরোধ- নিজেদের বিজয়ী ভেবে জনগণ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না করে ফেলি।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ফরিদপুর বিভাগীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে এ সভার আয়োজন করা হয়।

আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, অনেক সংস্কার দরকার। সেটি আমরাও মানি। আমরা কোনো সংস্কারে বাধা দিচ্ছি না। তবে অনেক বহুমাত্রিক সংস্কার আছে। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া কোনো সাংবিধানিক সংস্কার কখনো সম্ভব হয় না।

আব্দুল আওয়াল বলেন, এর আগে ওয়ান ইলেভেনের সময়ও আমরা দেখেছি অনেক সংস্কারের জন্য অনেক আইন করা হয়েছিলো। তবে সেগুলো পরে আর বাস্তবায়ন হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ, তারা একটি দিকনির্দেশনা দিক যাতে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা যেন তা চালিয়ে যেতে পারেন। 

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কোনোভাবেই চাই না বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হোক। তবে তারা যদি নিজেদের সফল করতে চান, তাহলে তাদেরও কিছু কর্তব্য আছে। তাদের পথ যেনো লম্বা এবং অমসৃণ না হয়। যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করে তারা একটি রোডম্যাপ দিক- কবে তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। 

তিনি বলেন, গত ১৭ বছর এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যই আমরা লড়াই করে চলেছি। এর আগে বিএনপিও প্রথমে ২৭ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছিলো। পরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ দফা সংস্কারের দাবি প্রণয়ন করা হয়। 

তিনি বলেন, একমাসের আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটে না। গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অত্যাচারিত-নির্যাতিত হয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬২ হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। দলের ৬২ হাজার নেতাকর্মী আসামি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক বিজয় লাভ করেছি। সকলের প্রতি অনুরোধ- নিজেদের বিজয়ী ভেবে জনগণ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না করে ফেলি। নিজেদের ঐক্যবদ্ধ রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকলে একসাথে কাজ করে যাবেন। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু আরও বলেন, একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করানোই ছিল আমাদের লক্ষ্য। যতদিন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হয় ততদিন বিজয় আসবেনা। যেই লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী অত্যাচারিত হয়েছেন, তাদের সম্মান রক্ষার্থে যেন বিজয় না আসা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলতে থাকে।

এতে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক ওরফে শাহজাদা মিয়া। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহায়ক মো.  সেলিম রেজার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।

জহির হোসেন/এমএসএ