পটুয়াখালী কুয়াকাটার কলাপাড়া এলাকায় এবার বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়লো ১৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের এক মেদ মাছ। মাছটি কুয়াকাটা মাছ বাজারে ডাকের মাধ্যমে সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের জেলে খলিলের জালে মাছটি ধরা পরে। 

শনিবার (৯ নভেম্বর) শেষ বিকেলে কুয়াকাটা মাছ বাজারের খান ফিসে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন জেলে খলিল। 

পরবর্তীতে পাইকারি ক্রেতা ফিস ভ্যালীর (ডিএমডি) ব্যবসায়ী মো: হাসান মাছটি ৯০০ টাকা কেজি ধরে ১৪ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী ফিস ভ্যালীর হাসান বলেন, মেদ মাছগুলো বাজারে বর্তমানে তেমন একটা আসে না। সেজন্য মাছটি ক্রয় করেছি কারণ এই মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে মার্কেটে। মাছটি বিক্রির জন্য ঢাকা পাঠানো হবে। যদি পারি একসাথে বিক্রি করে দেব না হলে কেটে কেজি হিসেবে বিক্রি করব। আশা করি প্রত্যাশিত দামে বিক্রি করতে পারব।

মাছটি পাওয়া জেলে খলিল মাঝি বলেন, সামুদ্রিক বাইলা মাছ ধরার উদ্দেশ্য গতকাল রাতে গঙ্গামতি সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জাল ফেললে বয়া নামক স্থানে এ মাছটি ধরা পরে। 

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে এটাই আমার জালে বড় মাছ। মাছটি পেয়ে আমি খুবই খুশি। কারণ ভাল একটা দামে মাছটি বিক্রি করতে পেরেছি।

এসব মেদ মাছের প্রচুর চাহিদা উল্লেখ করে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আঃ রহিম খান বলেন, দেখতে খানিকটা রিঠা মাছের আকৃতির। এসব মেদ মাছ খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এ মাছ নদীতে ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। সচরাচর জালে মাছ গুলো যেখানে ধরা পড়ে না। তবে মাঝে মাঝে ভাগ্যবান জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে। গত বছর এক জেলে ছোট সাইজের একসঙ্গে প্রায় ১০০ টি মেদ মাছ পেয়েছিলেন।

এ বিষয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার অপু সাহা বলেন, বছরে দুবার সামুদ্রিক নিষেধাজ্ঞা পালনের সুফল হচ্ছে জেলের জালে এমন বড় মাছ। আমরা যদি সামুদ্রিক নিয়ম কারণ মেনে সমুদ্রে মাছ শিকার করি তাহলে সামনের দিকে আমাদের জেলেরা আরো ভালো মাছ পাবে। তাই জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সমুদ্রের শতভাগ নিয়মকানুন মেনে মাছ শিকার করা উচিত। 

এসএম আলমাস