ম্যানেজারের অপসারণ দাবিতে চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও চা-বাগানে শ্রমিক হয়রানি ও চাকরি থেকে অব্যাহতির প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের তিন চা-বাগানের শতাধিক শ্রমিক প্রায় তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন।
বিজ্ঞাপন
শ্রমিকরা জানান, বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম ও সহব্যবস্থাপক ইফতেখার আলম ১৫ মে শ্যামল কৈরী নামে বাগান হাসপাতালের ড্রেসারের বাড়িতে তল্লাশি, থানায় মিথ্যা অভিযোগ ও সর্বশেষ সোমবার তাকে চাকরিচ্যুত করেন। এতে সাতগাঁও বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ বিষয়ে চা-বাগানের শ্রমিকনেতারা ব্যবস্থাপকের সঙ্গে আলোচনা করলেও সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে সাতগাঁও, ইছামতি ও মাকড়িছড়া চা-বাগানের শতাধিক শ্রমিক লছনা ‘নাচঘরে’ কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় তারা ইফতেখার আলমের অপসারণ দাবি করেন।
চা-শ্রমিক পরিতোষ অমলিক বলেন, ১৫ দিন আগে কিছু না জানিয়ে আগে আমার নামের একটি পুকুর ও ফসলি জমির বরাদ্দ বাতিল করে দিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদ করলে ব্যবস্থাপকরা মিথ্যা গাছ চুরির মামলা ও হয়রানি করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লাল বাবু জানান, চা-শ্রমিকদের ঘামে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করলেও কোম্পানি শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা দিতে চায় না। অনেক শ্রমিকের ঘরে টিনের চালা ছিদ্র হয়ে পনি পড়ে, কর্তৃপক্ষ মেরামত করে দিতে চায় না। এসব নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাদের।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, পঞ্চায়েত নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যাগুলো সমাধানের কথা রয়েছে। এতে সমাধান না হলে চা-শ্রমিকেরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন।
সাতগাঁও চা-বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম চা-বাগানের ড্রেসার শ্যামল কৈরীকে অপসারণের বিষয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে। শ্রমিকরা আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের সহব্যবস্থাপক ইফতেখার আলমের ওপর হামলা করেছেন। তাকে চিকিৎসা দিতে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।
ওমর ফারুক নাঈম/এএম