দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল আমদানির অনুমতির পাশাপাশি আমদানিতে পুরোপুরি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার।

গত ৬ নভেম্বর শুল্ক প্রত্যাহার করে চাল আমদানির এই অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।

ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই বন্দরের ১৩ জন আমদানিকারক প্রায় ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। ইমপোর্ট পারমিট পাওয়ার পর এসব চাল আমদানি করবেন ব্যবসায়ীরা। আগামী সপ্তাহে বাজারে আসতে পারে ভারত থেকে আমদানিকৃত এই চাল।

হিলি স্থলবন্দরের স্থানীয় বাজারে এখন দেশি চালের দাম বেশ চড়া। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) হিলি বাজারে আটাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে, যা ছিল ৫৬ টাকা। অন্যদিকে সম্পা কাটারি চাল কেজিতে তিন টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা কেজির চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। এ ছাড়াও কেজিতে দুই টাকা বেড়ে স্বর্না-৫ জাতের চাল ৪৮ টাকা, জিরাশাইল ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি শুরু হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা আমদানির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তবে চাল আমদানিতে যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তা খুবই কম। কারণ আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে বাজারজাত করতে হবে। এ ছাড়াও এবার আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া আছে। যে প্যাকেটে চাল আমদানি করা হবে সেই প্যাকেটেই বাজারে বিক্রি করতে হবে এবং প্রতিদিনের আমদানি, বিক্রি ও মজুদের তথ্য স্থানীয় খাদ্য অফিসে জমা দিতে হবে।

হিলি স্থলবন্দরের উপসহকারী উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধে কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, চাল আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট এখনো কেউ পায়নি। পারমিট পেলে আমদানিকারকরা চাল আমদানি করতে পারবেন।

সোহাগ/এএমকে