দিনাজপুর সদর উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে নারীসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজন দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাক্সিন নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়ে পুর্নিমা রায় নামে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

বুধবার (০৬ নভেম্বর) সদর উপজেলার উথরাইল ইউনিয়নের বেঙ্গুনদিঘী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শিয়ালের কামড়ে আহত মানিক রায় জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তারা কয়েকজন মিলে বেঙ্গুনদিঘী রায়পুর গ্রাম থেকে পাশের বেঙ্গুনদিঘী পূর্বপাড়া গ্রামে একটি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে হঠাৎ একটি শিয়াল তাদের ওপর আক্রমণ করে। এতে তারা বেশ  কয়েকজন আহত হন।

গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পুর্নিমা রায় জানান, সন্ধ্যার কিছু সময় আগে বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে একটি শিয়াল একটা ছাগলকে তাড়া করছিল। এ সময় শিয়ালের তাড়া খেয়ে পুকুরে পড়ে যায় ছাগলটি। ছাগলটিকে বাঁচাতে গিয়ে শিয়াল তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে দুই হাতের কনুইয়ের ওপর থেকে মাংস ছিড়ে নেয়।

দিনাজপুর সদর উপজেলার  রামপুর বেঙ্গরদিঘী এলাকার পুর্নিমা ছাড়াও শিয়ালের আক্রমণের শিকার হয়েছেন একই গ্রামের মানিক রায়, বকুল রায়, লিটন রায়, ধনঞ্জয় রায়, সঞ্জিত রায়, হৃদয় রায়, অনুপম রায়, সিদ্দিক, আজিজুর রহমানসহ আরও বেশ কয়েকজন।

দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক পারভেজ সোহেল রানা জানান, শুধু শিয়ালের কামড়ই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে দিনাজপুরে কুকুর ও বিড়ালের উপদ্রবও বেড়েছে। মানুষ এমনভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন যে পশুগুলো কারো কান ছিড়ে নিয়েছে, কারো পায়ের মাংস তুলে নিয়েছে, কারো চোখ ও ঠোঁটে বড় রকমের আক্রমণ করেছে। কুকুর-শিয়াল কিংবা বিড়ালের আক্রমণের শিকার হলে তিন ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সাধারণ ক্ষত ক্যাটাগরি-১ নির্ণয় হলে তেমন ভ্যাক্সিন প্রয়োজন পড়ে না। ক্যাটাগরি-২ এর ক্ষেত্রে এআরভি ভ্যাক্সিন এবং ক্যাটাগরি-৩ এ এআরভি ও আরআইজি ভ্যাক্সিন দিতে হয়। আমাদের হাসপাতালে এআরভি ভ্যাক্সিন সরবরাহ থাকলেও আরআইজি ভ্যাক্সিন সরবরাহ নেই। যদিও অধিকাংশ আক্রান্ত ব্যক্তিই ক্যাটাগরি-৩ পর্যায়ের।

হাসপাতালের রেজিস্ট্রার দেখে তিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে ৯০-১০০ জনকে কুকুর-বিড়াল ও শিয়ালের টিকা দেওয়া হচ্ছে।

সোহাগ/এফআরএস