নাটোরে বড়াইগ্রামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় মো. আবুল কাশেম ওরফে বাহাদুর (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া  দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় এ মামলা থেকে আরও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুল কাদের মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কাশেম বড়াইগ্রামের গড়মাটি এলাকার মৃত এবাদ আলীর ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে পিপি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর সকালে পঞ্চম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী প্রাইভেটে যাওয়ার সময় কৌশলে তাকে বড়াইগ্রামের একটি ডেকোরেটরের দোকানে ডেকে নেন আবুল কাশেম। ভিকটিম তখন প্রাইভেটের দেরি হয়ে যাচ্ছে জানালে, তাকে হাত ধরে টেনে দোকানের ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন কাশেম। পরে ভিকটিম চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক মো. সামসুল ইসলাম ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আবুল কাশেমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন। আদেশে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় এ মামলা থেকে আরও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা ভিকটিম পাবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

গোলাম রাব্বানী/এফআরএস