৫ কিশোরকে বেঁধে নির্যাতন, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৬
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মাছ ধরার জাল চুরির অপরাধে পাঁচ কিশোরকে একসঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি চৌকিদার আমির হোসেনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের জেলেপাড়ায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে চরকিং ইউনিয়নের শুল্লকিয়া গ্রাম থেকে চৌকিদার আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে রোববার (১৬ মে) বেলা পৌনে ১১টায় উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্যাতনের ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে তৎপর হয় পুলিশ।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জেলেপাড়ায় পাঁচ কিশোরকে লাঠিপেটা করা হচ্ছে। এ সময় ওই পাঁচ কিশোর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।
চরকিং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ মহিউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, কয়েকদিন আগে পাঁচ কিশোর এক জেলের একটি বিন্দি জাল চুরি করে পার্শ্ববর্তী সোনাদিয়া ইউনিয়নের এক জেলের কাছে বিক্রি করে দেয়। ওই জাল উদ্ধার করে শনিবার (১৪ মে) বিকেলে মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। রোববার সকালে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলেপাড়ার মাতব্বর শ্রীহরি দলদাস, নেপাল চন্দ জলদাস, প্রিয় লাল জলদাস, বিধান চন্দ জলদাস, রায় মেহেন জলদাসের নেতৃত্বে একটি সালিস বসে।
একপর্যায়ে জেলেপাড়ার পাঁচ মাতব্বর অভিযুক্তদের একজনকে ১০টি করে বেত্রাঘাত করার আদেশ দেন ও প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। তাদের নির্দেশে পাঁচ কিশোরকে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করেন চৌকিদার আমির হোসেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, এ ঘটনায় এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। অভিযান চালিয়ে সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দুপুরে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
হাসিব আল আমিন/এএম