কল্যাণ ট্রাস্টের আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন ৩৫০ জন সাংবাদিক
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (প্রথম পর্যায়ে) ৩৫০ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সারাদেশ থেকে ৩৫৮টির মতো আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই শেষে এ অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফেনী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, এটিকে আমি অনুদান বলব না, এটি সম্মানি। অনুদানের বিষয়ে সবাই তেমন খোঁজখবর না রাখায় আমার যোগদানের প্রথমবারে এবার আবেদনও ছিল সীমিত। তারমধ্যে একটি যোগ্য আবেদনও বাদ দেওয়া হয়নি। এখন আইনগত ও বিধিবিধান অনুযায়ী যারা প্রাপ্য তাদের মধ্য থেকে আর একজনও বঞ্চিত হবেন না। এজন্য সবাইকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্লেখ তিনি বলেন, যারা সাংবাদিকতায় পুরো জীবন বিলিয়ে দিয়ে শেষ বয়সে এসে অসহায় অবস্থায় থাকেন, সন্তানদের দ্বারা যারা উপেক্ষিত হন, ওষুধপত্র কেনার মত যাদের সামর্থ্য থাকে না, তাদের অবসরকালীন এবং প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে ৬৫ না ৭০ ঊর্ধ্বদের এটির আওতায় আনা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বাস্তবায়ন করা গেলে এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হবে। সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করার ব্যাপারে কথা চলছে। যদিও এর আগে প্রেস কাউন্সিল থেকে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই ধরনের একটি ডাটাবেজ তৈরি করার কথা বলেছিল। তবে আমরা সেজন্য করব না। পেশাদার সাংবাদিকদের কল্যাণে যেন সুদূরপ্রসারী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় সেজন্য একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করব।
এ সাংবাদিক নেতা আরও বলেন, বিগত সরকারের সময়ে এখানে যারা দায়িত্বে ছিল, তারা সাংবাদিকদের এ তহবিল খালি করে দিয়ে গেছে। সেখানে যেটুকু ছিল তার বাইরে আরো ১ কোটি টাকা বাড়তি অনুদান অনুমোদন দিয়ে কাজ করছি। গত ১৫ বছর ধরে সেখানে তাদের (আওয়ামী লীগ) ভিন্ন মতের কারো আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, এবার ২৬ জন প্রয়াত সাংবাদিকের পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছি। কিন্তু আরও তিন বছর আগেই তাদের পাওয়ার কথা ছিল। সাংবাদিকদের মৃত্যুর পর ওই পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করলেও শুধুমাত্র আওয়ামী মতাদর্শের না হওয়ার কারণেই এতোদিন বঞ্চিত ছিল।
যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আরিফুর রহমানের পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা আল আমিন।
অনুষ্ঠান শেষে ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার ৩২ জন সাংবাদিককে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অনুদানের চেক তুলে দেন অতিথিরা। এ সময় ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
তারেক চৌধুরী/আরকে