র্যাব পরিচয়ে বিকাশ এজেন্টের ২৬ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৯
কুমিল্লায় র্যাবের পোশাক পরে বিকাশ এজেন্টের ২৬ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় ৯ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বজ্রাকুঞ্চিবাড়ি এলাকার কাছু শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২), একই এলাকার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের নাসির আলীর ছেলে সাজু মিয়া (৩৩), মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর এলাকার রবিউল আউয়ালের ছেলে মো. রিয়াদ (১৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার থানারকান্দি এলাকার তপদর হোসেনের ছেলে মো. রবিউল (২৬), মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার টাকার টেংরামারি এলাকার আলী আকবরের ছেলে মো. মানিক (৪০), নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার দক্ষিণ কুলচরিত্র এলাকার আবুল কালামের ছেলে রিপন সর্দ্দার (২৯), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কালিরখামার এলাকার গয়সল বেপারীর ছেলে মো. সাজু (৪৪), পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস এলাকার আ. হক হাওলাদারের ছেলে মো. রিপন হাওলাদার (৪৫) এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে মো. সজিব (৩৫)।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কুমিল্লা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এসব তথ্য জানান।
মাহমুদুল হাসান জানান, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত চক্রটি দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতিতে জড়িত। ডাকাত সাইফুলের নেতৃত্বে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটি গত সোমবার গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা এলাকায় দুই ব্যক্তিকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মালামাল লুটে নিয়ে পালানোর সময় র্যাব তাদের ধাওয়া করে। এরপর দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার ৩৫৮ টাকা, র্যাবের ৩টি জ্যাকেট, হ্যান্ডকাপ, নকল পিস্তল, ২টি ওয়াকিটকি, ওয়্যারলেস সেটসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন যে, তারা ২৭ অক্টোবর বিকেলে চৌদ্দগ্রাম এলাকায় র্যাব পরিচয়ে বিকাশ এজেন্টের টাকা বহনকারী গাড়িটি আটক করে। এরপর তারা গাড়িতে থাকা বিকাশের দুই কর্মচারীকে হাত-পা বেঁধে ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা লুটে নিয়ে মহাসড়কের চান্দিনা এলাকায় তাদের রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ডাকাতদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম, চান্দিনাসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বিকাশের লুণ্ঠিত ওই টাকা উদ্ধারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
আরিফ আজগর/আরএআর