মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন হত্যা মামলায় শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটিসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) তারা মাগুরার সদর আমলি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক হুমায়ুন কবির তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত ৪ আগস্ট দুপুরে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড ব্রিজ এলাকায় গুলিতে নিহত হন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২২)।

এ ঘটনায় ২১ আগস্ট মাগুরার সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের উত্তর বীরপুর গ্রামের জামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডক্টর বিরেন শিকদার, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও নাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিত, শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটিসহ ৬৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে হত্যাকাণ্ড এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।

মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, এ মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় কুতুবুল্লাহ হোসেন কুটি, আনিসুর রহমান কনক, আবদুল হান্নান, নজরুল, কবির এবং মনিরুল এবং মাসুদ নামে সাত আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করেন।

এ মামলাটির অভিযুক্ত আসামিদের অধিকাংশই পলাতক আছেন বলে জানা গেছে।

এফআরএস