ভূঞাপুরে হাসপাতালে বিএনপি নেতার তালা, দুইদিন পর খুলল সেনাবাহিনী
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর চক্ষু হাসপাতালের নারী কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করায় হাসপাতালটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিএনপি নেতা খন্দকার জাহাঙ্গীর হোসেন ও ঘাটান্দির জুলহাস উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ দেওয়া হলে দুইদিন পর গিয়ে তারা তালা খুলে দেয়।
সোমবার (০৪ নভেম্বর) সকাল থেকে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, গত ১ নভেম্বর দুপুরে খন্দকার জাহাঙ্গীর হোসেন ও জুলহাস উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন গিয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রোগীদের বের করে দিয়ে হাসপাতালে তালা লাগিয়ে দেন। পরে এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিকার চেয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের কাছে রোববার (০৩ নভেম্বর) লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেলে হাসপাতালে লাগানো তালা ভেঙে খুলে দেয়।
ভূঞাপুর চক্ষু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, হাসপাতালের কর্মচারী খাদিজা আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এ কারণে পশ্চিম ভূঞাপুরের খন্দকার জাহাঙ্গীর হোসেন ও ঘাটান্দির জুলহাস উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন হাসপাতালে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রোগীদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ লেখার সময় ওই কাগজটিও ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং হাসপাতালের এডমিন ইনচার্জ হাতেম আলী খানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
স্থানীয় রকিবুল ইসলাম ভূইয়া জানান, হাসপাতালটিতে অত্র অঞ্চলের অনেক দরিদ্র মানুষ অল্প টাকায় চোখের চিকিৎসা নেন। প্রকাশ্যে এভাবে হাসপাতালে তালা লাগিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি।
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা জুলহাস উদ্দিন জানান, চক্ষু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের টাকা আত্মসাৎ করছেন। পরিচালনা কমিটি বাতিলসহ তাকে সেখান থেকে বাদ দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে।
ভূঞাপুর চক্ষু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, হাসপাতালের কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীর বাহিনী এসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এটা তারা সমাজবিরোধীর কাজ করেছে। শুধু তাই না, হাসপাতালের এক কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। থানাও কোনো অভিযোগ নেয়নি। পরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ দেওয়ার পর রোববার বিকেলে তারা তালা ভেঙে খুলে দিয়েছে। ফলে সোমবার সকাল থেকে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অভিজিৎ ঘোষ/এফআরএস