বরিশালের ভাটারখাল বস্তিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মায়া বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ছয় দিন পরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নারীর মৃত্যু হয়।

মায়া বেগমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনারের কার্যালয় ও সেনা কমান্ডারের অস্থায়ী কার্যালয় ঘেরাও করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বস্তির বাসিন্দারা। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে বস্তিতে ফেরেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর দুপুরে ভাটার খাল বস্তিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

নিহত মায়া বেগমের স্বামী রুহুল আমিন বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক মোবারক হোসেন জিদনী, লাদেন, হাসানসহ একদল সন্ত্রাসী আমাদের এবং তানিয়া, শিল্পী বেগমের ঘরে হামলা চালায়। হামলায় আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়। তাকে হাসপাতালে নিলে সেখানে গতকাল মারা যায়। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। আওয়ামী লীগের আমলে তারা চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা করে আধিপত্য চালাতো। এখন তাতে বাধা দেওয়ায় আমার স্ত্রীকে খুন করেছে।

হামলায় অভিযুক্ত মোবারক হোসেন জিদনী বলেন, রহুল একটি গ্রুপ নিয়ে চলে আমরাও একটি গ্রুপ। ওইদিন প্রথমে আমাদের বস্তি ছাড়া করতে তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা তা প্রতিহত করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। দুর্ঘটনাবশত মায়া বেগম মারা গেছেন। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কেউ মারধর করেনি।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত মায়া বেগমের স্বজনদের থানায় মামলা দিতে বলা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে