ফেনীতে বাপসার মানববন্ধনে শ্রমিক দল নেতার হামলা
বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের (বাপসা) ফেনী জেলা সভাপতি নাসির উদ্দিন লিটনের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে জেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার সভাপতি মোকছেদুল আলম টিপুর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সংগঠনের সভাপতির ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান নয়নের বক্তব্য চলাকালে সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোকছেদুল আলম টিপু আকস্মিক এসে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। পরে তার নেতৃত্বে সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়ন যুবদল নেতা মহি উদ্দিন মতিন, ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা আবদুল কাদের, আবদুর রউফ বাদল, মাহফুজ, হানিফসহ ২৫-৩০ জন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা করে ব্যানার ছিনিয়ে নেন। এসময় সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা কয়েকজন সাংবাদিক ভিডিও করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মোবাইলও ছিনিয়ে নেন হামলাকারীরা।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মোটবী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, তারা দলবল নিয়ে হঠাৎ এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। আমাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
আরও পড়ুন
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান নয়ন বলেন, মানববন্ধন চলাকালীন সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোকছেদুল আলম টিপু এসে শ্রমিক দলের বিরুদ্ধে কেন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা জানতে চান। তখন তাকে মানববন্ধনে কেউ এ ধরনের কথা বলেনি বলে জানাই। কিন্তু তিনি তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে অনেকজন নিয়ে এসে হামলা শুরু করে। যাতে দলীয় ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার সভাপতি মোকছেদুল আলম টিপু ঢাকা পোস্টকে বলেন, যাকে কেন্দ্র করে এ মানববন্ধনের আয়োজন ছিল, তিনি মূলত আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন। স্বৈরাচার সরকারের সময়ে তার মদদে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাও হয়েছিল। তাই এমন আয়োজনের কথা শুনে তাৎক্ষণিক আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান নয়নের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাই। কিন্তু এ হামলার ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই। আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মোটবী ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তারেক চৌধুরী/এসএসএইচ