নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ ১১ জেলেকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (০২ নভেম্বর) রাত পর্যন্ত সুখচর, নলচিরা ও বুড়িরচর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাতিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মিল্টন চাকমা।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য শনিবার রাতে হাতিয়ার সুখচর, নলচিরা, বুড়িরচর সংলগ্ন এলাকায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর অভিযান চালায়। এ সময় দুইটি ট্রলার, ১১ জন জেলে, ৫০ হাজার মিটার জাল ও  ৪০০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে আটক ১১ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দকৃত ইলিশগুলো আটটি এতিমখানা ও দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

হাতিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মিল্টন চাকমা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জব্দ করা ইলিশগুলো স্থানীয় মাদরাসা, এতিমখানা, গরিব ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আটক ১১ জেলের থেকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ট্রলারসহ ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মা ইলিশ বা জাটকা ধরে ফেললে আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন কমে যাবে। ইলিশের উৎপাদন কমে গেলে যারা ইলিশ আহরণ করেন তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বড় ইলিশ উৎপাদন হলে যারা এখন ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত তারাই সে সময় লাভবান হবেন।

হাসিব আল আমিন/এফআরএস