সারাদেশে নিষিদ্ধ হয়েছে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগ। মাঠ পর্যায়ে পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে এরই মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে দেশজুড়ে হাটবাজার ও কারখানায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় মাগুরার শ্রীপুরের বিভিন্ন বাজারে অবৈধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে চালনো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে খামারপাড়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাখী ব্যানার্জি। অভিযান শেষে তিনি শ্রীপুর উপজেলাকে অবৈধ পলিথিনমুক্ত উপজেলা গড়ার ঘোষণা দেন।

এর আগে খামার পাড়া বাজারে সাহা স্টোর এবং শিকদার স্টোরে অবৈধ পলিব্যাগ রাখায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬(ক) ধারা মোতাবেক দুই হাজার টাকা এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বাণিজ্যিক স্টোরে শিশু খাদ্য বিক্রির লাইসেন্স না থাকা এবং মূল্য তালিকা দর্শন না করায় ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দোকান থেকে এসব জব্দকৃত অবৈধ পলিথিন ফাঁকা জায়গায় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে পোড়ানো হয়।

অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাখী ব্যানার্জী বলেন, বাংলাদেশে আগে থেকেই পলিথিন নিষিদ্ধ ছিল। আমরা পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া বাজারে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু পলিথিন জব্দ করেছি এবং তাদেরকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে আর্থিক জরিমানা করেছি। আমরা চাচ্ছি মানুষ সচেতন হোক। পরিবেশের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর এই পলিথিনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া পলিথিনের বিকল্প কিছু যদি কেউ বাজারে আনতে চায় আমরা তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহোযোগিতা করব। যদি কেউ এ ধরনের উদ্যোক্তা হতে চাই আমরা তাদেরকে আহ্বান করছি তারা যেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করব।

আরকে