সাতক্ষীরায় গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত, আটক ৬
সাতক্ষীরায় গণপিটুনিতে কামরুল ইসলাম (৪০) নামের ডাকাত দলের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। কামরুল উপজেলার খলিশাখালি এলাকার মৃত আবু বকর গাজীর ছেলে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোরে খলিশাখালির মাছের ঘের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছয়জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
বিজ্ঞাপন
অভিযানে আটকরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের নরিম সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীগঞ্জ গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সোহেল, কালিগঞ্জ উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে মেহেরাব আলী, একই উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসান সবুজ, আকরাম গাজীর ছেলে রবিউল আউয়াল ও বদরতলা এলাকার জামিল ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন।
দেবহাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মাদ জানান, খলিশাখালিতে ১ হাজার ৩২৮ বিঘা মৎস্যঘের নিয়ে বহুদিন ধরে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছিল। গত ৫ আগস্টের পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতি হওয়ার সুযোগে খলিশাখালিতে অস্ত্র নিয়ে মৎস্যঘের দখলে নিতে বিভিন্ন সময় মহড়া চলতে থাকে। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে খলিশাখালিতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি হাতবোমা, ৩০টি ছোট হাতবোমাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক বলেন, খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা মজুদ রেখে মাছের ঘের দখল, এলাকায় ডাকাতিসহ নানা অপরাধ করে আসছিল আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড়, সাইফুল ইসলাম গাজীসহ তাদের বাহিনী। সেই মোতাবেক দেবহাটার তিনটি অবস্থান থেকে একসঙ্গে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রথমে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে দেশীয় বোমা এবং ককটেল বোমা ছুড়তে থাকে। এমনকি দূর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে পাইপগান দিয়ে গুলি চালায়। একপর্যায়ে স্থানীয় দেড় শতাধিক বাসিন্দা কামরুলসহ কয়েকজনকে ধরে ফেলে। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ ডাকাত কামরুলকে পিটুনি দেয়, পরে সেনাসদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, নিহত কামরুল একজন ডাকাত। অন্যান্য আটক অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় ৫টি রামদা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৭৫০ গ্রাম বারুদ, ৪টি মোবাইল ফোন, ৩৮টি হাতবোমা, ৭ প্যাকেট হাতবোমায় ব্যবহৃত স্প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়েছে।
ইব্রাহিম খলিল/এমজেইউ