শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আনন্দমুখর পরিবেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দুদিনব্যাপী বার্ষিক ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব  চলছে । ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে পুনর্মিলনের মাধ্যমে উৎসবের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বিকেল চারটায় খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টায় মোমবাতি জ্বালিয়ে তীর্থযাত্রীরা আলোক শোভাযাত্রায় অংশ নেন। নিজেদের পাপমোচন করতে মোমবাতি জ্বালিয়ে হাজার হাজার খ্রিস্টভক্ত প্রায় দুই কিলোমিটার পাহাড়ি ক্রুশের পথ অতিক্রম করেন। সেখানে ৪৮ ফুট উঁচু মা মারিয়ার মূর্তির সামনে বিশাল প্যান্ডেলে সমবেত হয়ে নৃত্যগীত, নিরাময়, গীতিআলেখ্য ও নিশিজাগরণ পালন করেন

এদিকে এই উৎসবকে ঘিরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ খ্রিস্টধর্ম প্রদেশের খ্রিস্টভক্তদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ ও আনন্দের জোয়ার। এবারের উৎসবের মূল সুর ‘প্রার্থনার অনুপ্রেরণা ফাতেমা রানি মা-মারিয়া; যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে বসবাস করে’।

এ উৎসবের প্রথম দিনে পুনর্মিলন সংস্কার, খ্রিস্টযাগ, জপমালার প্রার্থনা ও আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রামান্তের আরাধনা ও নিরাময় অনুষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রার্থনা ও নিশি জাগরণ অনুষ্ঠিত হয়। আর দ্বিতীয় দিনে জীবন্ত ক্রুশের পথ, মহা খ্রিস্টযাগ শেষে বিদায় বা শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ঢাকা মহা ধর্ম প্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বারোমারী ‘সাধু লিও’-এর খ্রিস্টধর্মপল্লীতে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে এই তীর্থস্থানটি সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশের রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের জন্য এই ফাতেমা রাণীর তীর্থযাত্রা উৎসবটি অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। এদিকে উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

শেরপুর পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন বারোমারি খ্রিস্টধর্মপল্লীতে প্রতিবছর দুইদিন ব্যাপী  যে অনুষ্ঠানটি এখানে প্রতিবছরের নেয় এইবারও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি। যাতে নির্ভীঘ্নে আনন্দের সাথে এই ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে তার জন্য সকল ব্যবস্থা আমরা নিয়ে রেখেছি। 

মোঃনাইমুর রহমান তালুকদার/এমটিআই