রাজশাহীতে সড়কে প্রাণ গেল সেনাসদস্যসহ তিনজনের
রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জেলার মোহনপুর উপজেলার রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে দুপুর ১টা ও রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। এই ঘটনায় যাত্রীবাহী অটোরিকশা ও মালবাহী ইঞ্জিনচালিত ভটভটির চালককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- নওগাঁর মান্দা উপজেলার দাসপাড়ার মমতাজুল ইসলাম মো. পলাশ (২১), তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত; রানীনগর উপজেলার উপর তালিমপুর গ্রামের মৃত তোতা হাজী আব্দুল কুদ্দুস (৪০), তিনি পেশায় মসজিদের ইমাম। এ ছাড়া দুপুরে অপর দুর্ঘটনায় ইজিবাইকচালক আমিনুল ইসলাম (৪৭) নিহত হন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাত ৯টার দিকে রাজশাহীর দিক থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা মোহনপুরের কেশরহাটের দিকে যাচ্ছিল। পথে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে একই দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ভটভটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে পড়ে পলাশ ও আব্দুল কুদ্দুস ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের কেশরহাট বাঁশহাটা এলাকায় চার্জার ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আমিনুল ইসলাম নিহত হন। তিনি উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামের কসিমুদ্দিনের ছেলে। আমিনুল পেশায় ভ্যানচালক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমিনুল ভাড়া নিতে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে কেশরহাট বাঁশহাটায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক মোস্তাহিদ। মোস্তাহিদের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাবাইহাট এলাকায়।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান জানান, দুপুরে দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহত হন। আর রাত সাড়ে ৯টায় দুর্ঘটনায় এক সেনাসদস্যসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা সেনাসদস্যের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আসছেন।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় অটোরিকশা ও ভটভটি চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের গাড়ি দুটি জব্দ করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে মামলা হবে। এ ছাড়া আইনগত ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শাহিনুল আশিক/এমজেইউ