রংপুরে রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাককে সভাপতি ও ফাইজুল্লাহ নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৬ জন সদস‍্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে আবু সাঈদের বাড়িতে আসেন রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এবং বিভাগীয় পর্যায়ের নেতারা। এ সময় তারা আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। পরে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন পুনর্গঠিত নতুন কমিটি ঘোষণা করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নবগঠিত কমিটির নেতাকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম।

কমিটিতে অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- সহ-সভাপতি লামিয়া ইসলাম ও এ এইচ এম শাহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকন উসমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব হাসান মজুমদার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রানা, রাজনৈতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফয়সাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক হাসনা আক্তার মীম, অর্থ সম্পাদক মাশুক নূর, মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক রায়হান আহমেদ তামীম, দপ্তর সম্পাদক রুমায়ন তমাল, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান স্বাধীন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ইশতিয়াক, সহ-সম্পাদক কনক সরকার, মোহাম্মদ শাহীন আলম, এনামুল হাসান তৃষী, মিজানুর রহমান, শাকিল আহমেদ, শেখ মারিয়া।

এ ছাড়া কার্যকরী সদস্য- সুলায়মান মাহমুদ, রাফিম হাসনাত হিজবু, আবু সাঈদ, ইয়াকুব বিন হোসাইন, ইব্রাহীম খলিল, আফরোজা মিতু, আশিকুজ্জামান আশিক, আবু হাসান আনসারী, হাবিব খান, মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন, আলিফ সরকার, সুজিত চন্দ্র, শাহরিয়ার সোহান, শেখ মারুফ, শাহজালাল হোসেন, ওয়ালিদ বিন মোহাম্মদ মাছুম, মির্জা হামিদুল ইসলাম মেহরান, আশরাফুল ইসলাম তূর্য, মোর্শেদুল আরেফিন রাফিন, তাসিন জামান রোহান, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, নাজমুল হক নয়ন, মাহমুদুল হাসান মবিন, নাজমুল হক নাহিদ।

কমিটি ঘোষণা অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে নবনির্বাচিত সভাপতি আহমেদ ইসহাক বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বর্তমান বাংলাদেশ আবারও একটি বাঁকবদলের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজন এমন একটি রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা, যে ব্যবস্থাটি তার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে নিশ্চিত করবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যে সরকার পরিচালিত হয়, সেই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। জনগণের প্রয়োজন হবে এমন সব প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তেমন একটি ব্যবস্থা করতে হলে প্রয়োজন হবে আমাদের সংবিধানের ক্ষমতা কাঠামো সংস্কার করা। সংবিধানকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন উপযোগী করা এবং সরকার পরিচালনার আইন-কানুনের সংস্কার করা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন দলমত নির্বিশেষে সেই সংস্কারের নতুন রাজনীতিকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। ছাত্ররা যদি ইতিহাসের এই অমোঘ আহ্বানকে অনুধাবন করতে পারে তাহলে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত বিজয়কে ঘরে তুলতে পারবে ইনশাআল্লাহ, যে বিজয়ের জন্য এখানকার মানুষ বিগত কয়েকশ বছর লড়াই করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা যে এক বাকস্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে চাইলে এখন প্রয়োজন নতুন ধারার রাজনীতি, নতুন ধরনের সংগঠন এই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন তার পুনর্গঠিত নতুন কমিটি ঘোষণা করতে যাচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সামিউল আলম রাসু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সমন্বয়ক সাধনা মহল, রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলনের সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ