মসজিদের মাইকে মৃত্যুর খবর প্রচারে বাধা দেওয়ায় গ্রেপ্তার ১
সিলেটের বিশ্বনাথে বাবার মৃত্যুর খবর মসজিদের মাইকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ছেলে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে সাজ্জাদুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে মামলা দায়েরের পর পুলিশ বুধবার (৩০ অক্টোবর) উপজেলার রামপাশা বাজার থেকে ১১নং আসামি মঞ্জুল হককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মঞ্জুল উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের মৃত জাবিদ আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল মিয়া।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর সকাল সোয়া ৭টায় মারা যান খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের মো.চাঁন মিয়া। মারা যাওয়ার পর সকাল ৮টায় মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়। কেন মসজিদের মাইকে প্রচার করা হলো জানতে চেয়ে জোরে অপমানমূলকভাবে গ্রামের নুরুল হকসহ কয়েকজন তেঘরি গ্রামের নতুন ও পুরাতন মসজিদের মাইক বন্ধ করে দেন। এছাড়া ভূবন শাহর মাজার থেকে তেঘরি গ্রামের রাস্তায় বিবাদীরা হাতে দা ও বাঁশের লাঠি নিয়ে মৃত চাঁন মিয়ার আত্মীয় স্বজনকে তার বাড়িতে আসতে বাধা দেয়। তাছাড়া রাস্তায় গাছ ফেলে ডেকোরেটারসের মালামাল ও কুড়াল আনতে গেলে বিবাদীরা বাধা দেয়।
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে মামলার বাদী সাজ্জাদুর রহমান জানান, মাইকিং করতে দেয়নি ও ইমামকে জানাজায় আসতে দেয়নি অভিযুক্তরা।
তবে তেঘরি পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম ফারহান আহমদ বলেন, ঘটনার দিন সকালে আমাকে একটা শিশু এসে মৃত্যুর খবর দেয়। সকাল ৮টায় মসজিদের মাইকে প্রচার করেছি। কেউ কোনো বাধা দেননি। এছাড়া আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে জানাজার নামাজে যেতে পারিনি।
মামলায় অভিযুক্ত শফিকুল হক ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে বলেন, মসজিদের জায়গা নিয়ে এই পরিবারের সাথে মসজিদ পঞ্চায়েতের বিরোধ রয়েছে। তাই আমাদের হয়রারি করতে মিথ্যা মামলা করছে বাদীরা।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল মিয়া বলেন, মামলায় ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে পূর্ব কোনো বিরোধ ছিল কি না আমার জানা নেই।
মাসুদ আহমদ রনি/আরকে