এক সপ্তাহের মধ্যে খুলছে বান্দরবানের পর্যটন স্পট
আগামী সপ্তাহের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন স্পট এমনটা জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে পর্যটনসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এসময় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সদর উপজেলা, লামা,নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদমসহ চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। পর্যায়ক্রমে রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি উপজেলায় পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা পর্যালোচনা টিম গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সবগুলো উপজেলায় পর্যটন স্পটগুলো উন্মুক্ত করা হবে পর্যটকদের জন্য।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মনজুরুল হক, র্যাব-১৫ এর বান্দরবানের কোম্পানি ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের মেজর মো. শায়েখউজ জামান, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, বান্দরবান রেসিডেন্সিয়াল হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে মতবিনিময় সভা চলাকালীন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সেক্টরের হাজারো কর্মচারীদের।
এসময় তাদের ব্যানারে লিখা ছিল ‘ভাত দেন, না হয় পর্যটন স্পট খুলে দেন’। এ সময় বক্তারা দ্রুত সময়ে পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়াসহ পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানান। নয়তো কঠোর কর্মসূচিরো ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে মতবিনিময় পরবর্তী আলোচনার অগ্রগতি এবং নিজেদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বান্দরবান রেসিডেন্সিয়াল হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির সঙ্গে মিল রেখে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আমরা চাই আগামী ৫ তারিখের মধ্যে পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া হোক, না হলে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
শহীদুল ইসলাম/আরকে