ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বাবা খন্দকার মাশরুর রেজার (কুটিল) নাম রাখার দাবি জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন। সেই সঙ্গে কেন হত্যা মামলায় তার নাম রাখা হয়নি এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বির কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ছাত্রদল সম্পাদক নাছির উদ্দিনের দাবি, মাগুরায় ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদল নেতা রাব্বিসহ দুইজন নিহত হন। ওই আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য হামলায় নেতৃত্ব দেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বাবা খন্দকার মাশরুর রেজা (কুটিল)। অথচ ওই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তাকে রহস্যজনকভাবে আসামি করা হয়নি।

তিনি বলেন, জুলাই এবং আগস্টে মাগুরায় নির্বিচারে যে গণহত্যা হয়েছে তার ধারবাহিকতায় ৪ আগস্ট মেহেদী হাসান রাব্বি গুলিবিদ্ধ হন। এরপর হাসপাতালে তিনি শহীদ হয়েছেন। আমরা যেটি উদ্বিগ্নের সঙ্গে লক্ষ করলাম, মেহেদি হাসান রাব্বির হত্যাকাণ্ডের যে মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আমি কালকে নিজেই এখানকার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এ নিয়ে উদ্বিগ্নের কথা জানিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা বলেছি সাকিব আল হাসান যিনি মাগুরা-১ আসনে  অবৈধভাবে এমপি ছিলেন উনার বাবা ৪ তারিখ গুলি, লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ওই মিছিল থেকে মেহেদী হাসান রাব্বি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সাকিবের বাবাকে কেন মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সেটি আমরা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়েছি। মাগুরা পুলিশ সুপার (এসপি) বলেছেন, তদন্ত শেষে যদি প্রমাণিত হয় সাকিব আল হাসানের বাবা দোষী, তাহলে অবশ্যই উনার নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে মাগুরায় এমপি সাইফুজ্জামান শিখর ও বীরেন শিকদার বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করেছেন। জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে সাকিব আল হাসান এমপি হওয়ার পর তার বাবা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন।

গত ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় মাগুরা শহরের ঢাকা রোড ও পারনান্দুয়ালী গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন। এ দুই ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়।

তাছিন জামান/এফআরএস