নোয়াখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের কেউ জড়িত ছিল না। এ ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংগঠনটির নাম জড়ানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মশিউর রহমান ফাহাদ এবং সেক্রেটারি দাউদ ইসলাম যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। এতে স্বাক্ষর করেন ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার প্রচার সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম।

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর প্রতিবাদে ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা এ নিন্দা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্যাহপুরে সংঘটিত সংঘর্ষে বিবাদমান কোনো পক্ষের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো পর্যায়ের জনশক্তির সম্পৃক্ততা নেই। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, তদন্তের মাধ্যমে বিবাদমান পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কারণ অনুসন্ধান করে প্রকৃত জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

ছাত্রশিবির নেতারা বলেন, ছাত্রশিবির একটি সুসংগঠিত সংগঠন, যার রয়েছে শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তাদের বক্তব্য না নিয়ে একতরফাভাবে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে লাগাতার মিথ্যা অভিযোগ এবং অপপ্রচার বন্ধ করতে মিডিয়াসহ সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মশিউর রহমান ফাহাদ ঢাকা পোস্টকে বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নোয়াখালীতে হওয়া দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রশিবিরের কেউ জড়িত ছিল না। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তাদের বক্তব্য না নিয়ে একতরফাভাবে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর