মাগুরা জেলা প্রশাসক মো.অহিদুল ইসলাম বলেছেন, পলিথিন এমন একটি পদার্থ, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক এবং পরিবেশদূষণের উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই পলিথিন কোনোভাবেই বাজারে থাকবে না। পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের তৈরি শপিংব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ আইনত নিষিদ্ধ। নিষেধ ও বাধা উপেক্ষা করে যদি কেউ পলিথিন ব্যাগ ক্রয় বিক্রয় করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যেকে বাজারে আসার সময় একটি করে পাটজাত বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে আসবেন। 

সোমবার (২৮ অক্টোবর) মাগুরার শালিখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, আমি মাগুরায় যোগদানের পর থেকেই শালিখাকে শান্ত উপজেলা হিসেবে পেয়েছি। আপনাদের সবার সহযোগিতায় শালিখা  উপজেলাকে একটি মাদকমুক্ত উপজেলা তথা আদর্শ উপজেলায় পরিণত করা সম্ভব। শুধু মাদক নয় সব সামাজিক ব্যাধিও দূর করা সম্ভব। 

শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বিপ্লব কুমার রায়ের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন শালিখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুন্সি আনিচুর রহমান মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক মুন্সি মনিরুজ্জামান চকলেট, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আফসার উদ্দিন, শালিখা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওলি মিয়া আড়পাড়া মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ ইমদাদুল ইসলাম, শালিখা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব, শালিখা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু জাফর লাল, ছাত্র প্রতিনিধি ফারহান ইসলাম শাকিলসহ শালিখা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

এর আগে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৭টি ফসলের আবাদ বৃদ্ধি এবং নতুন জাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শালিখা উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি মৌসুমে ৭ হাজার ৩০৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিঘা প্রতি ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি, গম চাষের ক্ষেত্রে ২০ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০কেজি এমওপি, ভুট্টা চাষের ক্ষেত্রে ২ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি, পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে ১ কেজি বীজ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি, মসুর ও মুগ চাষের ক্ষেত্রে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি, খেসারি চাষের ক্ষেত্রে ৮ কেজি বীজ ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।

আরকে