নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে হানিফ (৬০) নামে এক প্রাইভেটকার চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হলে তারা এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের খাস কামরায় পাঠানো হয়। সেখানে এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী কামরুল হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ুম খান।

এর আগে, রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর তেজগাঁও ও মদনপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত গাড়ি ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক ১০টায় তাদের গ্রেপ্তার করে আজ (সোমবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ওমর হোসেন (৩৪), একই এলাকার গোলাম মাহমুদের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম (৩৫) ও সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর নয়ামাটি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম (২৩)।

নিহত হানিফ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার কেরোয়া এলাকার মৃত মো. কেরামত আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে গাড়িচালক আবু হানিফকে চারজন ছিনতাইকারী যাত্রী সেজে বিমানবন্দর থেকে সোনারগাঁয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর এলাকায় নিয়ে আসেন। এরপর ছিনতাইকারীরা আবু হানিফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার মরদেহ ফেলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও পুলিশের কয়েকটি দল অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

এফআরএস