বিমানে বারবার খাবার চাওয়ায় যাত্রীকে পুলিশে সোপর্দ
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর থেকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটের এক যাত্রী ও কেবিন ক্রুদের মধ্যে কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। এক পর্যায়ে অসদাচরণের অভিযোগে এক ব্রিটিশ নাগরিককে পুলিশে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ম্যানচেস্টার থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০৮ বিমানটি সোমবার (২৮ এপ্রিল) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর ঘটনাটি জানাজানি হলে এর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিজি-২০৮নং ফ্লাইটের যাত্রী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ফয়েজ আহমেদ খান কেবিন ক্রুদের সঙ্গে অসদাচরণ করলে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে অন্য যাত্রীরা তাকে থামানোর চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর সিভিল অ্যাভিয়েশন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করলে ওই যাত্রীকে আটক করে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিমানে যাত্রীর সঙ্গে কেবিন ক্রু, পাইলট ও অন্য যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিকের। পরে তাকে আটক করে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বিমানটির অপর এক মহিলা যাত্রীর সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ আমরা একই বিমানে ছিলাম। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে ডায়াবেটিসের রোগী দাবি করছিলেন। তিনি বারবার তার সুগার-ফল করার ফলে কেবিন ক্রুকে কিছু খাবার দিতে বলেন। তারা খুব সম্ভবত তাকে কিছু খাবার দিয়েছিলেন। পরে আরও কিছু অতিরিক্ত খাবার চাইলে কেবিন ক্রুরা তাকে পাত্তা না দেওয়ায় ঘটনার সূত্রপাত হয় ও কথা-কাটাকাটি হয়। বিমানের সেই যাত্রী ফয়েজ খানকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করেন বিমানের ক্রুরা। এরপর থেকে তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। এই ঘটনায় দায়ী হলে দুইপক্ষই দায়ী হবেন।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক যাত্রীকে আমাদের এয়ারপোর্ট থানায় দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আপনাদের আমরা জানবো।
মাসুদ আহমদ রনি/এএমকে