যুবককে সৌদি আরবে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানবপাচারকারী চক্রের হাতে তুলে হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা কুদ্দুস রাঢ়ী।

রোববার (২৭ অক্টোবর) বরিশাল মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন তিনি। পরে বিচারক মো. সোহেল আহম্মেদ কাজির হাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা।

মামলার বাদী কুদ্দুস রাঢ়ী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চুনারচর গ্রামের বাসিন্দা।

আসামিরা হলেন- ঢাকার এমআর ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা নরসিংদী বালুরচর মহল্লার আটপাইকা এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেনের ছেলে মো. রানা, মেয়ে হাবিবা আক্তার এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া ফুলবাড়িয়া এলাকার মো. আব্দুল বাতেন শেখের ছেলে আবু তাহের শেখ।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়- কুদ্দুস রাঢ়ীর ছেলে রুবেল রাঢ়ীকে সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য রানা ও হাবিবাকে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। চুক্তি ছিল সৌদি আরবে নিয়ে তারা রুবেলকে ভালো কাজ পাইয়ে দেবেন। সে অনুসারে ২০২৪ সালের ১৫ মে রুবেলকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে তাকে কোনো চাকরি দেওয়া হয়নি। উলটো রুবেলকে সৌদি আরবের মানবপাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। চক্রের সদস্যরা রুবেলকে নির্যাতন করে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে কুদ্দুস রাঢ়ীকে জানানো হয়। পরে বিষয়টি আসামিদের জানালে তারাও টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন।

বাদী বিভিন্ন উপায়ে ছেলেকে ফিরিয়ে আনা এবং মানবপাচারকারী চক্রের কাছ থেকে বাঁচতে চেষ্টা করেও সুরাহা করতে পারেননি। সবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এফআরএস