রাজবাড়ীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকার করার অপরাধে ২৩ জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া কয়েকজন জেলেকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২ লাখ ৪১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দকৃত ৪৫ কেজি ইলিশ মাছ এতিমখানায় দান করে দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার পদ্মা নদীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর থেকে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার অংশে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ এ অভিযান চালায়।

জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২০ জেলেকে কারাদণ্ড, ১১ হাজার টাকা জরিমানা ও ২ লাখ ৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং ৩৬ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। কালুখালী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৩ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় ৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং ৬ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। গোয়ালন্দ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। অপরদিকে পাংশা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ৩ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর থেকে আজ ২৭ অক্টোবর ১৫ দিনে জেলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্টে মোট ১৫৯ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ৮৯ হাজার ৪০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ১৫ দিন অভিযান চালিয়ে ইলিশ শিকারে ব্যবহৃত অবৈধ ১২ লাখ ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে ও ৯৩২ কেজি ইলিশ মাছ জেলেদের কাছ থেকে জব্দ করে স্থানীয় এতিমখানায় দান করে দেওয়া হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪ উপলক্ষ্যে পদ্মা নদীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার অংশে অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধভাবে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৩ জন জেলেকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় ২ লাখ ৪১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া জব্দকৃত ৪৫ কেজি ইলিশ এতিমখানায় দান করা হয়।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমজেইউ