ঠাকুরগাঁওয়ে ‘আলোর পথে’ অর্ধশত চোরাকারবারি
সীমান্তে মালামাল পারাপার ছিল যাদের একমাত্র পেশা এখন তারাই আত্মসমর্পণ করে ফিরতে চাচ্ছেন স্বাভাবিক জীবনে। রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার আটঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন ৫০ জন চোরাকারবারি।
এ সময় ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
৫০-বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ বলেন, ৫০ জন চোরাকারবারি পেশা পরিত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লক্ষ্যে বিজিবির নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামা করেছেন। পরে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও শূন্য লাইন অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে আহ্বান জানানো হয়।
হরিপুর সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী গ্রামের অধিকাংশ লোকই দরিদ্র। রোজগারের আশায় গরু থেকে শুরু করে নানারকম মালামাল আনা-নেওয়ার অবৈধ কাজই ছিল সীমান্তের অনেক নারী-পুরুষের একমাত্র পেশা। সীমান্তের সেই মানুষগুলোই এখন বিজিবি ৫০ ব্যাটালিয়নের বহুমুখী তৎপরতায় আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন।
গেদুরা এলাকার স্কুলশিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতরা এখন বিজিবির সহায়তায় সঠিক পথে আসায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। তবে চোরাচালান নির্মূলের জন্য এসব প্রান্তিক নারী-পুরুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরিফ হাসান/এমজেইউ