চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড়ের অঞ্জলী রানীকে (৫৫) কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রতিবেশী ওয়াদুদ ওরফে ওদু মন্ডলকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার।  

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তার ওয়াদুদ ওরফে ওদু মন্ডল দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিণপাড়ার মৃত সুবাদ মন্ডলের ছেলে। নিহত অঞ্জলি দৌলতদিয়াড় দক্ষিনপাড়ার নরসুন্দর গণেশ পরমানিকের স্ত্রী।

এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিণপাড়ার নিজ বাড়িতে দুপুরে গৃহবধূ আঞ্জলী রাণীকে জবাই করে নগদ অর্থ-স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দুদিন পর অর্থাৎ ২২ অক্টোবর নিহত অঞ্জলী রানীর ভাই অশোক কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে পুলিশ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে এ ঘটনার পর থেকেই ওয়াদুদ ওরফে ওদু মন্ডল পলাতক রয়েছে। এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওদু মন্ডলের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু থানাধীন শিংগা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ওদু মণ্ডলকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওদু মণ্ডলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অঞ্জলী রানীকে হত্যার ঘটনা অকপটে স্বীকার করেন এবং হত্যার ঘটনার বর্ণনা নেন। পরে তার স্বীকারোক্তিতে লুট করা একটি স্বর্ণের নেকলেস, তিনটি স্বর্ণের পলা, চারটি স্বর্ণের কানের দুল একটি স্বর্ণের রিং কানের দুল, দুটি রুপার নুপুর এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। শনিবার তাকে হত্যা মামলায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আফজালুল হক/আরকে