বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু তার দোসররা এখনও রয়ে গেছে। তাদের ডাল পালা গজিয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে এর চেয়ে বড় ফ্যাসিস্টও রাজপথে নামতে পারবে না। রংপুরে ফ্যাসিস্টদের কেউ ভয় পায় না। তাদের সঙ্গে দেখা হবে রাজপথে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির মতো দল আওয়ামী লীগকে সংসদে বৈধতা দিয়েছিল। তারা যদি বৈধতা না দিতো তাহলে কি আওয়ামী লীগ বৈধতা পেত?  যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সংসদে বৈধতা দিয়েছে, সহযোগিতা করেছে তারা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্টদের দোসর। ফ্যাসিস্টদের দোসররা গর্ত থেকে বিষ দাত দেখাতে চাচ্ছে। আমরা বলে দিতে চাই তাদের বিষ দাত ভেঙে ফেলার মতো অসংখ্য জিনিস আমাদের কাছে আছে। 

সারজিস আলম আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির ভাইদের অত্যাচার করা হয়েছে, জামায়াতের ভাইদের জেলে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। তখন এই দোসররা কোথায় ছিল। আবু সাঈদকে এই রংপুরে হত্যা করা হয় তখন দোসররা কোথায় ছিল। দুই হাজার ভাইবোনকে হত্যা করতে হাসিনাকে সহযোগিতা করার জন্য তাদেরও বিচার করতে হবে। স্বৈরাচারের আরেক দোষর চুপ্পু ভবনে রয়েছে তাকে সরানোর জন্য দল মত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সংস্কার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে যেন জাতীয় পার্টিকে ডাকা না হয় এমন স্ট্যাটাস দেন হাসনাত-সারজিস। এরপরই ১৪ অক্টোবর রংপুরে জাতীয় পার্টির এক সভা থেকে এই দুই সমন্বয়ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এ ঘোষণার পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে শনিবার রংপুর যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

শিপন তালুকদার/আরকে