বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার নামে কয়েক হাজার হত্যাকাণ্ডের মামলা হওয়া উচিত। তিনি দেশে অনেকগুলো গণহত্যা চালিয়েছেন, সামরিক আইনে তার বিচার হওয়া উচিত। ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং বিডিআরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপরাধে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিত। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে জনতাকে হত্যা করার জন্য তার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করতে হবে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দুঃশাসন বাংলাদেশের উন্নয়ন কিংবা জনগণের জন্য কাজ করেনি। বরং তারা আরেকটি দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদকে পুঁজি করেছিল। এক্ষেত্রে আমি স্পষ্ট ভারতের নাম উল্লেখ করতে চাই। এখন পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশ বিরোধী তার মিশন থামায়নি, তারা ষড়যন্ত্রের পথ থেকে ফিরে আসেনি। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া খুনি হাসিনা এবং তার সবগুলো দোসরদের ভারত নিজের কক্ষে আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনা যেখানে পালিয়ে থাকবে, সেখান থেকে তাকে ধরে এনে হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ে বাংলাদেশের জনতার আদালতে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনীতি ছিল সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতি। তাই শুধু ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগকেও বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের বিচারও করতে হবে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, সারা পৃথিবীতে পাচার করা টাকাগুলো দেশে ফিরিয়ে এনে দেশ এবং জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।

গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হুসাইন। এছাড়া সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী ও মাওলানা আবু সাঈদ নোমান।

আনোয়ারুল হক/এফআরএস