ইলিশ রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় যাত্রীবাহী একটি ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে দুইটি আগ্নেয়ান্ত্রসহ চার যুবককে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকার পদ্মা নদী থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার কাচরন্দ এলাকার আবু বক্কার মুন্সির ছেলে মো. জীবন্ত মুন্সি, আজাদ শেখের ছেলে নাছির উদ্দিন শেখ, পাবনা জেলার ধারাই এলাকার রহমত সরদারের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ সরদার ও পাবনার ঢালার চর এলাকার আনসার মোল্লার ছেলে খায়রুল মোল্লা।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, শুক্রবার বিকেলে ইলিশ রক্ষায় যৌথবাহিনীর সদস্যসহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অন্তর মোড় থেকে পাবনার রাখালগাছীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী একটি ট্রলারে ইলিশ পাচার হচ্ছে কিনা তা যাচাই করার জন্য তল্লাশি চালানো হয়। ট্রলারের মধ্যে থাকা একটি স্কুল ব্যাগের মধ্যে থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও বড় একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চার যুবককে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ব্যপারে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সগীর মিয়া বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করবেন। মামলাটি দৌলতদিয়া নৌপুলিশ তদন্ত করবে। আটকদের মধ্যে রশিদের নামে পাবনার আমিনপুর থানায় একটি মামলা আছে।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, নৌ পুলিশ, গোয়ালন্দ থানা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে পদ্মা নদীর অন্তরমোড় থেকে একটি ট্রলার রাখালগাছি যাওয়ার পথে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় এলে টলারটি সার্চ করা হয়। এ সময় টলারে থাকা একটি কালো রঙের স্কুল ব্যাগের মধ্যে থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি একনলা বন্দুকসহ চারজনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এফআরএস