মুজিবুল হক চুন্নু ও সানাউল হক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি এম সানাউল হকসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৭০ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।

করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ওমর কাইয়ুম বাদী হয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে করিমগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মুজিবুল হক চুন্নুর এপিএস আমিরুল ইসলাম বাবলু, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আ ন ম নওশাদ খান, করিমগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা করিমগঞ্জ বাজারে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে মিছিল বের করে। এ আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক এমপি মো. মুজিবুল হক চুন্নু এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি ও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা সানাউল হকের নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন এবং জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা শটগান, বন্দুক, ককটেল, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রপাতি নিয়ে করিমগঞ্জ বাজার এলাকায় আন্দোলনকারীদের মিছিলে হামলা করে। এতে আন্দোলনকারীদের অনেকে আহত হন।

করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলার বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এমজেইউ