ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবেলায় বরিশাল জেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৭৯৮টি মাধ্যমিক, ১৫৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০৮৮টি স্থানে আশ্রয় নিতে পারবে ঘূর্ণিঝড় কবলিতরা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা শেষে এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, বরিশাল জেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০০ জন করে আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ৭৯৮টি মাধ্যমিক, ১৫৯০টি প্রার্থমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া নগদ ১২ লাখ টাকা, ৫৬৯ টন চাল, শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা, গোখাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলার ১০টি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৩২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্টের ২০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। এর সঙ্গে স্কাউট সদস্য ও বিএনসিসি সদস্যদের যুক্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা যদি আঘাত হানে সেই অবস্থা ও তার পরবর্তী অবস্থা মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পর্যাপ্ত খাদ্য, নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র ও উদ্ধারে স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুসিকান্ত হাজং, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, জেলা শিক্ষা অফিসার বরিশাল জাহাঙ্গীর হোসাইন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে