খুলনা জেলা কারাগারে হাজতি ও কয়েদিদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় জেলখানার ‘পাগলা ঘণ্টা’ বাজানো হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়। গতকাল স্বজনদের সাথে স্বাক্ষাতকে কেন্দ্র করে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে।

খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. রফিকুল ইসলাম কাদের বলেন, বর্তমানে কারাগারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।  

সূত্রে জানা যায়, স্বজনদের সাথে সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে হোসেন মুন্সি নামে এক হাজতি কয়েদি সেলিমকে (রাইটার) মারপিট করে। সেলিম পরে অন্য কয়েকজন কয়েদিকে সাথে নিয়ে হোসেনকে খুঁজতে থাকেন। এ নিয়ে জেলের ভেতরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে জেলার আবু সায়েম বিষয়টি জানতে পেরে জেলের অভ্যন্তরে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেন। 

পরবর্তীতে আবারও একই আসামিরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে থাকেন। এমনকি কর্তব্যরত কারারক্ষীদের জেলখানা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কিছু অতিরিক্ত কারারক্ষী ভিতর প্রবেশ করলে আসামিরা তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন এবং তাদেরও বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে পাগলা ঘণ্টা বাজানো হয়। পরে সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে আসে।  

সেনাবাহিনী আসার পর জেলার আবু সায়েম অতিরিক্ত কারারক্ষী নিয়ে জেলখানার ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি আসামিদের নিজ নিজ সেলে প্রবেশ করান। 

মোহাম্মদ মিলন/এনএফ