পটুয়াখালীতে মাপে তেল কম দেওয়ার অপরাধে এস এস ফিল্ম স্টেশনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্থানীয় সাধারণ জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্টটি পরিচালিত হয়েছে। এসময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায়, যতদিন পর্যন্ত তেলের মাপ ঠিক না করবে ততদিন পর্যন্ত ফিল্ম স্টেশনটিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সদর উপজেলার শীয়ালি বাজার সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এসএস ফিলিং স্টেশনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিয়ুর রহমান। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১০ লিটার পেট্রোলে ৬১০ মিলি ও ১০ লিটার ডিজেলে ৫০০ মিলি কম পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত তেল চুরি করে আসছিল।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে এসএস ফিলিং স্টেশনটি চালু হওয়ার পর থেকে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরে তারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়। একাধিকবার চুরির বিষয়টি গাড়িচালক ও স্থানীয়রা ধরলেও তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তেল চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার এসএস ফিলিং স্টেশনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তেল চুরির দায়ে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়। তবে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে, এভাবেই তেল চুরি করে আসছিলো ফিলিং স্টেশনটির লোকজন। 

এবিষয়ে মোবাইল কোর্টের দায়িত্বরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিয়ুর রহমান বলেন, এসএস ফিলিং স্টেশনে ১০ লিটার পেট্রোলে ৬১০ মিলি ও ১০ লিটার ডিজেলে ৫০০ মিলি কম পাওয়া গেছে। এই অপরাধের তাদের ওজন ও পরিমাপ দণ্ড আইন ২০১৮ অনুযায়ী বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের পরিমাপ যন্ত্রগুলো ঠিক করা হলে আমরা আবার গিয়ে সেগুলো চেক করব, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তাদের পুনরায় অনুমতি দেওয়া হবে। 

এস এস ফিলিং স্টেশনের মালিক সেলিম খন্দকারের কাছে  মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মেশিনের সমস্যা হয়েছে, তাই তেল কম যেত। কিন্তু একসঙ্গে তিনটি মেশিনে সমস্যা হয়েছে প্রশ্ন করলে, তিনি সরি বলে ফোন কেটে দেন।

মো. রায়হান/জেডএস