কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মামলা-হামলায় নির্যাতিত ও চরম বৈষম্যের শিকার কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি কুসিকের অপসারিত কাউন্সিলররা।

বৈষম্যের শিকার এসব কাউন্সিলরদের দাবি না মানা হলে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের সমমনা কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কাউন্সিলরগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর কাজী গোলাম কিবরিয়া, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর রাজিউর রহমান রাজীব, ১৯, ২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত অপসারিত নারী কাউন্সিলর তাহমিনা আক্তার লিন্ডা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর আবদুর রহমান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর রেজাউল করিম, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর কাজী জিয়াউল হক, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অপসারিত নারী কাউন্সিলর রুমা আক্তার সাথীসহ সমমনা নির্দলীয় অন্যান্য কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ওই সালের ২৩ জুন গেজেট প্রকাশের পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ওয়ার্ডের উন্নয়নসহ জনগণের সেবা করে আসছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে আমাদেরকে অপসারণ করে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়। কিন্তু তাদের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকায় জনগণ সেবাবঞ্চিত হচ্ছে। এতে এলাকার উন্নয়ন বঞ্চনাসহ জনদুর্ভোগ বাড়ছে। 

এ অবস্থায় অবিলম্বে তাদেরকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবি জানান। অন্যথায় দেশের ১২টি সিটির সমমনা কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডে ২৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৯ জনসহ ৩৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৭ জনই বিএনপি-জামায়াত ও নির্দলীয় কাউন্সিলর ছিলেন। বাকি ১৯ জন কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। বাহার সমর্থিত এসব কাউন্সিলর সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের সব সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। 

আরিফ আজগর/এমএ