বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর বরিশাল বিভাগে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে, আর আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার নাসিমা বেগম (৩৫) ও আমেনা বেগম (৬০) এবং বানারীপাড়া উপজেলার তারিফ খান (১৫) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২২ অক্টোবর মারা যান। এর মধ্যে নাসিমা বেগম ২১ অক্টোবর ও বাকি দুজনকে ২২ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিভাগে মোট মারা যাওয়া ৩২ জনের মধ্যে শেবাচিম হাসপাতালে ২৫ জন, বরগুনায়, পটুয়াখালী, পিরোজপুরে দুইজন করে এবং ভোলায় একজন মারা গেছেন।

এ ছাড়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪ হাজার ৬৩৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনায় ১২৯২ জন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭২১, বরিশালের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে ৬০২, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫৬, পটুয়াখালীর অন্যান্য হাসপাতালে ৪৮৫, ভোলায় ৪৬৩, ঝালকাঠিতে ১১৯ ও পিরোজপুরে ৫৯৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪,২৯১ জন, আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩১০ জন।

ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের দ্রুততার সঙ্গে এবং অধিক গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রতিটি হাসপাতালকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। দেশে মূলত বর্ষাকালেই ডেঙ্গুর উপদ্রব বাড়ে। তারই অংশ হিসেবে বরিশাল বিভাগেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে চিকিৎসার পাশাপাশি এডিস মশা যেন না জন্মাতে পারে সেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

জনসচেতনতা না বাড়ালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ