নীলফামারীতে সাবেক সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ ২০২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের আকাশকুড়ি এলাকার মৃত সিদ্দিক আলীর ছেলে লিটন রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানা পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা আমলি আদালত-১-এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম।

আসামিরা হলেন—সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সহসভাপতি হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসফিকুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম শাহ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের প্রায় ১ হাজার সন্ত্রাসী লক্ষ্মীচাপের কাছারি বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়ে লুটপাট চালায়। দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর উল্লিখিত আসামিরা আবারও ওই বাজারে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সরকারবিরোধীদের হুমকি দেন। বাজার থেকে ফেরার পথে বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী। রামগঞ্জ বাজারে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করেন। এ সময় তাদের আঘাতে বাদী লিটন রহমানের বাবা সিদ্দিক আলী মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে বাঁচাতে ছুটে এলে আসাদুজ্জামান নূর দ্রুত তার গাড়ি দিয়ে সিদ্দিক আলীকে চাপা দিয়ে হত্যা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ পাটোয়ারী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী আদালতে মামলার আবেদন করলে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে এফআইআরের আদেশ প্রদান করেছেন।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনো আদালত থেকে মামলার কোনো কাগজপত্র আসেনি। কাগজপত্র আসলে মামলা নথিভুক্ত করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নীলফামারীতে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে দুটি হত্যা মামলা। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

সরিফুল ইসলাম/এএমকে