মানবদেহে বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সার হয়ে থাকে। এর বেশির ভাগ ক্যান্সার হওয়ার কারণই জানা যায় না। তবে জরায়ুমুখের ক্যান্সার মানুষের শরীরের বাইরের জীবাণুর মাধ্যমে হয়ে থাকে। বিশেষ করে যৌন সংক্রমণের মাধ্যমে এই ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে।

প্রতি বছর বাংলাদেশে অধিকাংশ নারী জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫১ জন নারী মারা যায়। তথ্য অনুযায়ী ১ লাখ নারীর মধ্যে ১১ জন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত।

তবে এই ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কার হয়েছে এবং বর্তমানে সফলভাবে কাজও করছে এই টিকা। বাংলাদেশর নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বর্তমান সরকার ৫ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত কিশোরীদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলায় প্রায় ৮০ হাজার কিশোরীরকে এই টিকা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান এই তথ্য জানান।

এ সময় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ রিয়াদুল জামান, ডা. রিয়াসত আজীমসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন আরও বলেন, এই টিকা প্রদানের জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। আমাদের টিকাদানকর্মী প্রতিটি বিদ্যালয়ে গিয়ে কিশোরীদের টিকা প্রদান করবে। জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজের সব শ্রেণির মানুষদের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশের আহ্বান জানান বক্তারা।

টিকা গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট বয়সী ও নির্ধারিত শ্রেণিতে অধ্যয়নরত কিশোরীরা www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে টিকাকার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। পরে ও কার্ড দেখিয়ে টিকার ডোজ গ্রহণ করতে হবে। বাল্যবিয়ে, ঘনঘন সন্তান প্রসব, একাধিক যৌনসঙ্গী, ধূমপায়ী, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী, যে-সব নারী প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন নন এবং সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের অথবা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেন না তাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

শেখ আবু তালেব/এএমকে