ঝিনাইদহে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে ৭২ জনকে সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রোববার (২০ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি শাখা) থেকে ঝিনাইদহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া এক চিঠিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পূর্বে নিয়োগকৃত সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিল করে নতুনভাবে ৭২ জন সরকারি আইন কর্মকর্তাকে নিয়োগ আদেশ দেওয়া হয়।

ঢাকা পোস্টের হাতে আসা ওই চিঠিতে দেখা যায়, উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত নিয়োগাদেশে পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৪৯২ ধারা এবং দ্য লিগ্যাল রিমেমব্রেন্সার্স ম্যানুয়াল, ১৯৬০ এর ২ নম্বর অধ্যায়ের ১ নম্বর অনুচ্ছেদের বিধি ৯ এবং ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের বিধি ১৭ এর বিধান মতে তাদের নামের বিপরীতে উল্লেখকৃত পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) মো. মোকাররম হোসেন টুলু, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এসএম মশিয়ুর রহমান এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ইশারত হোসেন খোকন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়া, অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এডিশোনাল জিপি) হিসেবে মো. শফিউল আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে দেখা যায়, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে আটজন ও জেলা জজ আদালতে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি হিসেব নয়জনকে এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে ৫১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আলা উদ্দীন (আজাদ) ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে আমাদের বাছাই করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিজ্ঞ আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এডিশোনাল পিপি) মো. আকিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার আমাদের যাচাই বাছাই করে নিরপেক্ষ লোক দেখে নিয়োগ দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো সাধারণ জনগণ যেন কোনো ধরনের হয়রানি, ভোগান্তিতে না পড়েন। তারা যেন আইনের সঠিক চিবার পান সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাব এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করব।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এফআরএস