জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলতে কিছুই নেই। বাংলাদেশে যারাই বসবাস করছেন তারা প্রত্যেকেই এদেশের নাগরিক।

সোমবার (২১ অক্টোবর) মৌলভীজারের জুড়ীতে বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাশের পরিবার ও কুলাউড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হিন্দু পরিবারের মাঝে পৃথক আর্থিক অনুদান প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

ফখরুল ইসলাম বলেন, ফুটফুটে স্বর্ণাকে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করা হলো। কী অপরাধ ছিল তার। একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে এ রকম হত্যা মোটেও কাম্য নয়।

তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভ্রান্ত করতে একটি মহল জামায়াতের বিরুদ্ধে ভুল বুঝিয়েছে। জামায়াত সকল বিপদ আপদে আপনাদের পাশে রয়েছে। বিগত দুর্গাপূজায় জামায়াত প্রত্যেক মণ্ডপের নেতাদের সাথে বসেছে। সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানের ধর্ম যার যার, কিন্তু দেশটা আমাদের সবার।

জুড়ীতে স্বর্ণা দাশের পরিবারকে সমবেদনা ও আর্থিক অনুদান প্রদানকালে মৌলভীবাজার জেলা আমির প্রকৌশলী এম শাহেদ আলী, জুড়ী-বড়লেখা সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে মহানগর আমিরকে জড়িয়ে ধরেন নিহত স্বর্ণা দাশের বাবা।

এদিকে কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চারু বাবুর বাড়িতে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির প্রকৌশলী এম শাহেদ আলী। 

উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলার আমির আব্দুল হামিদ খান, নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন, বায়তুল মাল সম্পাদক মো. শফিক মিয়া, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি ফয়ছল আহমেদ ও সেক্রেটারি রুহুল আমীন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলক রায়, খোকন রায়, নিলমনী বিশ্বাস ও অজয় দাশ প্রমুখ।

আরএআর