বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রোস্টার বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগে ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহায়ক রুহুল আমিন লিখন ও তরিকুল ইসলাম সোহাগের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্মচারীরা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালের প্রধান ফটকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে অপসারণ দাবি করা হয়। শেষে হাসপাতালের উপ-পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রাব্বি আল মামুনের সভাপতিত্বে শাহাদাত হোসেন শান্ত, কায়ুম, ফয়সাল, আমিনুল ইসলাম, জব্বার ঢালী, আনোয়ার হোসেন, কামালসহ সকল কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

কর্মচারীরা জানান, হাসপাতালটির ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহায়ক রুহুল আমিন লিখন ও তারিকুল ইসলাম সোহাগ দীর্ঘদিন নানা অনিয়ম করে আসছেন। এই দুর্নীতি, স্বৈরাচারী কার্যক্রম ও কর্মচারী নির্যাতনে বিপাকে আছেন সকল স্টাফরা। অভিযুক্ত তিনজন কোনো নিয়ম না মেনে খেয়ালখুশি মতো কাজ করে হাসপাতালটিকে অনিয়মের রাজ্য বানিয়ে ফেলেছেন। অনিয়ম করে অবৈধপথে অর্থ উপার্জন করাই তাদের মূল টার্গেট। তাদের জন্য হাসপাতালের যেমন সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে তেমনি রোগীরাও সেবা পাচ্ছেন না।

আগামী তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের অপসারণ করা না হলে কর্মচারীরা কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুঁশিয়ারি জানান।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের হাসপাতালের সাবেক ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদ এসব কাজ করাচ্ছেন। তার অনিয়মের কারণে হাসপাতালের পরিচালক তাকে বদলি করে দেওয়ায় এখন আমাকে হেয় করতে কিছু কর্মচারীদের ভুল বুঝিয়ে মানববন্ধন করিয়েছে। আমি হাসপাতালে কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, আমি স্মারকলিপি পেয়েছি। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ