মহামারি করোনাকালীন ২০২০ সালের মার্চ মাসে পার্বতীপুর-চিলমারী রুটে রমনা মেইল ট্রেনটি বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে অধিদপ্তর। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর চিলমারী-পার্বতীপুর রুটে লোকাল এই ট্রেনটি বন্ধ ছিল।

সোমবার (২১ অক্টোবর) পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী রমনা রুটে আবারও ট্রেনটি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ কর্তৃপক্ষ। এতে দারুণ খুশি কুড়িগ্রাম-চিলমারী অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ।

রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধের সময় রমনা লোকাল ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে দেশের সব রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও পার্বতীপুর-রমনা লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা হয়।

তবে ২০২২ সালের ১ মার্চ রমনা লোকাল ট্রেনটির পরিবর্তে চিলমারী কমিউটার নামে একটি ট্রেন চালু করা হলেও ট্রেনটির সুবিধাজনক সময়ে না পৌঁছানো এবং তিস্তা ও কাউনিয়া জংশনে অন্যান্য ট্রেনের সঙ্গে সংযোগ না পাওয়া ইত্যাদি কারণে ট্রেনটি জনপ্রিয় হতে পারেনি। তবে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ট্রেনটি আবার চালু হওয়ার খবরে এ জেলার প্রান্তিক পর্যায়ে খুশির আমেজ বইছে।

রমনা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার মমিনুল ইসলাম বলেন,দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এই স্টেশনে আবার রমনা লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার খবরে এলাকায় আনন্দ বিরাজ করছে। ট্রেনটি চালু হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি।

রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরীফ বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় পার্বতীপুর থেকে রমনা লোকাল রাজারহাট স্টেশনে প্রবেশ করে। সেখানে গণকমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত যাত্রীদের ফুলের শুভেচ্ছা জানায়। পরে তারা রমনা মেইলে উঠে চিলমারীর দিকে যাত্রা শুরু করেন। পথে কুড়িগ্রাম স্টেশন, পাচপীর স্টেশন ও উলিপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতিকালে নেতাকর্মীরা রমনা মেইল চালু করায় ফুলের শুভেচ্ছা জানান।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, রমনা লোকাল ট্রেনটি চালু হলে সঠিক সময়ে দিনাজপুরের পাবর্তীপুর স্টেশন থেকে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা স্টেশনে পৌঁছবে সকাল ১০টায়। অন্যদিকে, চিলমারীর রমনা স্টেশন থেকে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ছেড়ে পার্বতীপুরে পৌঁছবে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম বলেন, রমনা লোকাল ট্রেনটি কুড়িগ্রাম অঞ্চলে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ট্রেন। আজ (সোমবার) থেকে পার্বতীপুর-রমনা রুটে রমনা লোকাল ট্রেনটি আবারও চালু হলো।

মো. জুয়েল রানা/এএমকে