ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেছেন, ফরিদপুরে পুলিশের ট্রেইটি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে। আগামী ১৯ নভেম্বর মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শেষ হবে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কনস্টেবল নিয়োগ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। 

পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, ফরিদপুর থেকে ৫৬ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এর বিপরীতে প্রচুর আবেদনপত্র জমা পড়েছে। পুলিশকে মানুষ গালাগালি করে আবার প্রচুর দরখাস্ত জমা পড়েছে, জানি না কেন এত দরখাস্ত।

তিনি বলেন, টিআরসি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র শারীরিক যোগ্যতা ও মেধার প্রয়োজন। নিয়োগের যাবতীয় কার্যক্রম স্বচ্ছতার মাধ্যমে হয়ে থাকে বিধায় কোনো প্রার্থী কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেনে জড়িত হলে গ্রেপ্তার ও নিয়োগ বাতিল হবে। তাছাড়া আবেদনপত্রে কোনো মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করলে প্রার্থী নিয়োগের অযোগ্য বিবেচিত হবেন। নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই সম্পূর্ণ করা হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, লক্ষ্য করা যায়, কিছু প্রতারক চক্র সুকৌশলে নিয়োগের জন্য প্রভাবিত করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে থাকে, তাদের ব্যাপারে সকলকে সচেতন ও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আপনাদের আশেপাশে এমন কোনো চক্রের কার্যক্রম দৃষ্টিগোচর হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় তথ্য দিয়ে নিয়োগের কাজে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে।

কনস্টেবল প্রার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, প্রার্থীদের অভিভাবকদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে, আপনারা কোনোভাবেই কোনো প্রলোভনে কিংবা কোনো প্রকার ফাঁদে পা দেবেন না। সৎ, সাহসী, মেধাবী এবং দেশের জন্য যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত আপনার এমন সন্তানকেই খুঁজছে বাংলাদেশ পুলিশ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর সকাল ৮টায়  শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাই করা হবে ‌। ১২ নভেম্বর সকাল ১০টায়  লিখিত পরীক্ষা এবং  ১৯ নভেম্বর সকাল ১০টায়  মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান, ডিআই-১ শাহজালাল আলম, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

জহির হোসেন/আরএআর