গ্রেপ্তার হারুন

লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় ভাই হিরনকে ফাঁসাতে হারুনুর রশিদ তার নিজের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেন। গ্রেপ্তারের পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি কায়সার হামিদ বলেন, আসামি হারুন তার ভাই হিরনকে ফাঁসাতে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। এমনকি নিজের শরীরেও দা দিয়ে আঘাত করে ঘটনাটি ডাকাতি বলে প্রচার করেন। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হারুন বর্তমানে কারাগারে আছেন।

গ্রেপ্তার হারুন সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়ির মৃত হানিফ মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটার মাঝি ছিলেন।

পুলিশ জানায়, হারুনের সঙ্গে তার ভাই হিরনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে হারুনের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত পৌনে ৩টার দিকে হারুন পার্শ্ববর্তী বিয়েবাড়ির সাজসজ্জা দেখতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী জেসমিনকে নিয়ে বের হন। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হারুন তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। ঘটনাটি ডাকাতি বলে প্রচার করতে হারুন নিজেই তার হাতে ও ঘাড়ে কাটা জখম করেন। পরে দা পুকুরের পানিতে পরিষ্কারের পর বসতঘরে রেখে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করেন। এতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে এলে সবাইকে জানান ৭-৮ জনের ডাকাতদল তাদেরকে কুপিয়েছে। একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাই হিরন ও তার স্ত্রীকে ফাঁসাতে হারুন নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে ডাকাতি বলে ঘটনাটি প্রচার করেন।

এদিকে ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় হারুনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে আদালতেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হারুন।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমজেইউ