রাজবাড়ীতে ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহবুব রব্বানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে গোয়ালন্দ মোড় এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার গোলাম মাহবুব রব্বানী গোয়ালন্দ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে।

ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী সদর থানায় সদর উপজেলার খানখানাপুর বেপারীপাড়া গ্রামের মো. তারেখ খানের ছেলে মো. জিসান খান বাদী হয়ে মামলটি করেন।

মামলায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদও হাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ভুঁইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহীন শেখসহ ১৪ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে ১০০-১৫০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করে স্লোগান দেন। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র-ককটেল নিয়ে সরে যেতে বলেন আসামিরা। শিক্ষার্থীরা রাজি না হওয়ায় হামলা চালান তারা। এ সময় তিনিসহ (মামলার বাদী) জোবায়দা ইসলাম সোহানা, তুষার পাটোয়ারী, সান সরদার, ত্রিয়াশা, আয়শা, সিনথিয়া, আসমা খাতুন, আদব পাঠান, নাঈম বিশ্বাস, কাওসার গাজী, ইব্রাহিম মল্লিক, তাওহীদ রাব্বি, মুন্না, বিল্লাহ হোসাইন, মেহেদী হাসান হৃদয়, বিল্লাল, মুরসালিন শেখ, রুমন ইসলাম, জিসান দেওয়ানকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন এবং এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন।

এতে জুবাইদা ইসলাম সোহানা, তুষার পাটোয়ারী, সান সরদার, ত্রিয়াশা, আয়শা, সিনথিয়া, আসমা খাতুন, তাওহিদ রাব্বি, মুন্না, বিল্লাল হুসাইন ও বিল্লালদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর জখম হন। এ সময় ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করেন আসামিরা। পুলিশসহ স্থানীয় বাসিন্দারা শিক্ষার্থীদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি গোলাম মাহবুব রব্বানীকে গোয়ালন্দ মোড় এলাকা থেকে শনিবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রোববার রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এএমকে