নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করায় ৩৫০০০ মিটার জাল, ৩টি ট্রলারসহ ৫ জেলেকে আটক করা হয়েছে। 

রোববার (২০ অক্টোবর) ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। 

জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে  রোববার (২০ অক্টোবর) ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে। 

এসময় প্রায় ৩৫ হাজার মিটার জালসহ ৩টি বোট জব্দ করা হয়।  ৫ জনকে আটক করা হলেক একটি বোট থেকে ৩ জন লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই জাল জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং আটক ৫ জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ১০০ কেজি মাছ জব্দ করা হয় যা ৩ টি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। যা আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং জব্দকৃত ১০০ কেজি মাছ ৩ টি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মা ইলিশ বা জাটকা ধরে ফেললে আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন কমে যাবে। ইলিশের উৎপাদন কমে গেলে যারা ইলিশ আহরণ করে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বড় ইলিশ উৎপাদন হলে যারা এখন ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত তারাই সে সময় লাভবান হবেন। মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

হাসিব আল আমিন/এমএসএ