নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে আরও ২৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ হাজার ৫০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৮৯ কেজি ইলিশ ও দুইটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) ভোর থেকে ভোলার ৩ উপজেলার মেঘনা-তেতঁুলিয়া নদীতে দিনব্যাপী মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটক হওয়া ২৮ জেলের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলার ১১ জন, লালমোহন উপজেলার ৭ জন, ও চরফ্যাশন উপজেলার ১০ জন।

জেলায় অভিযানে আটক হওয়া জেলেদের মধ্যে ১২ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় চার জেলেকে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি ও ১২ জনকে ৫২ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়া অভিযানে আটক হওয়া দুইটি মাছ ধরার ট্রলার উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ৪৭ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করে জেলা মৎস্য বিভাগ। জব্দকৃত ২১ হাজার ৫০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুরিয়ে বিনষ্টসহ ৮৯ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিম ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে আমাদের ১৬টি টিম ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাহারায় আছে। অসাধু জেলেরা নদীতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তাদের আটক করতে সক্ষম হচ্ছি।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সদা তৎপর। নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড নদীতে মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে অভিযান চালাচ্ছে। আশা করছি এবার কোনো জেলে নদীতে নেমে মা ইলিশ নিধন করতে পারবেন না। ইলিশ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারবে বলেও আশাবাদী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর থেকে সরকার ঘোষিত মাছধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে, যা শেষ হবে আগামী ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের সময় গত ৭ দিনে ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে মোট ৬৯ জন জেলেকে আটক করেছে প্রশাসন। আটক হওয়া জেলেদের মধ্যে ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, অপ্রাপ্তবয়স্ক ৪ জেলেকে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি ও ৫২ জনকে জেলেকে অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মো. খাইরুল ইসলাম/এফআরএস